শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : আর মাত্র ঘণ্টা দু’য়েক পরেই উড়িষ্যার ধামড়া বন্দরে আছড়ে পড়বে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। কলকাতা আবহাওয়া দফতর বুধবার (২৬ মে) সকাল ৮টায় জানিয়েছে, বর্তমানে ধামড়া থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।
পশ্চিমবঙ্গের দীঘা সমুদ্র সৈকত থেকে দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার।
আছড়ে পড়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আছড়ে পড়বে ইয়াস।
ইয়াস আছড়ে পড়ার আগেই কার্যত বিপর্যস্ত ধামড়া বন্দর। গতরাত থেকেই সেখানে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া সঙ্গে বৃষ্টিপাত। বিস্তীর্ণ এলাকা এখন জলমগ্ন। জনজীবন স্তব্ধ। ইতোমধ্যে জনবসতির অনেকটাই পানির নীচে চলে গিয়েছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার এগিয়ে এসেছে সমুদ্র।
ভারতের সবচেয়ে পুরোনো বন্দর ধামড়া পোর্ট। ৫০০ বছরের ইতিহাস জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে। কার্যত লণ্ডভণ্ড হতে চলেছে সেই বন্দর। ইয়াসের প্রভাবে রাত থেকে বন্ধ রয়েছে বিমানবন্দর।
দীঘার সমুদ্রও বর্তমানে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। সমুদ্রের জলস্তর ৩০ ফুট উচ্চতায় উঠেছে। পাশাপাশি গঙ্গার পানিও বাড়তে শুরু করেছে। এর অন্যতম কারণ ঘুর্ণিঝড়ে পাশাপাশি বুধবার (২৬ মে) রয়েছে বুদ্ধ পূর্ণিমা এবং চন্দ্রগ্রহণ।
অপরদিকে গত রাত থেকেই রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় মনিটরিং করছেন তিনি। রাজ্যে ইতোমধ্যে কয়েক লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ প্রবল জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। দফায় দফায় ভেঙে পড়ছে গাছ, কাঁচাবাড়ি। সেখানে নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর সামনে এসেছে। মেদিনিপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গ্রামগুলোয় ঢুকতে শুরু করেছে নোনাপানি।
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কলকাতায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সঙ্গে চলছে দমকা হাওয়া। ইতোমধ্যে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে পথে যানবাহন বের করতে নিষেধ করা হয়েছে। শহরের সমস্ত ফ্লাইওভার নো এন্ট্রি’ বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ হয়েছে ফেরি পারাপার এবং রেল চলাচল। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন রাত ৮টা পর্যন্ত কলকাতার বিমানবন্দর থেকে সমস্ত বিমান ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর থেকেই রাজ্যের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া বলে আগেই জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে রাজ্যের হুগলি জেলায় গাছ ভেঙে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।